আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কমছে না সবজির দাম

স্টাফ রিপোর্টার :
শহরের কাচাঁবাজারে ফের বড়েছে সবজীর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরণের সবজীতে মূল্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। ঝাঁঝালো পেঁয়াজের উঠানামার চললেও এবার পেঁয়াজের ঝাঁজ টপকিয়ে এগিয়ে কাঁচামরিচের ঝাল। সপ্তাহ ঘুরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০৪ টাকা ছাড়িয়েছ। অন্যদিকে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা।
গতকাল শহরের সবচেয়ে বড় কাচাকাজার দিগুবাবু বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে নিত্য প্রয়োজনী পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গতসপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫২০টাকা পাল্লা বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কেজি প্রতি দেশি রসুন ২২০ টাকা, চায়না রসুন ২০০টাকা, আদা ২৮০ টাকা কেজি, আলু এক পাল্লা প্রতি ১০টাকা বেড়ে ২৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি, ঢেড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, করলা ৩০ টাকা বেড়ে ১০০টাকা,পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, বেগুন ২০টাকা বেড়ে ৮০ কেজি, পেঁপে ৫০ টাকা, সসা ৬০ থেকে ৮০টাকা, টমেটো ১৮০, লাউ আকার অনুযায়ী ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুমুখি ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা ঝিংঙ্গা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর গলাচিপার বাসিন্দা রহিমা বেগম নামে এক গৃহিনী হতাশ কন্ঠে বলেন, সাধারণ মানুষের খেয়ে বাঁচার উপায় নাই। সবজির বাজারে এসে কোন কিছুতে কোনো সবজি হাত দেয়া যায় না। সবকিছুতেই দাম বেশি। বাজারে এসে সামান্য কাঁচা মরিচের দাম শুনে অবাক লাগছে। মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে।
এইদিকে সবজির বাজার দাম বৃদ্ধির বিষয় জানতে চাইলে মো. আবুল কালাম জানান, সবজির বাজারে দাম আরো বাড়বে। একে আমদানি কম তার উপর দেশে সব জায়গায় বন্যার কারণে এমন হয়েছে। কাঁচা মরিচের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই বিক্রেতা।
এদিকে ডিমের বাজার স্থিতি রয়েছে। লেয়ার লাল ডিম ৪৮ টাকা হালি, সাদা ৪৭ টাকা হালি, দেশি মুরগী ডিম ৮০ টাকা, হাঁসের ডিম ৬৫ টাকা হালি।
মাছের বাজারে সর্বশেষ তথ্যমতে, ইলিশ কেজি প্রতি ২৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত, পাবদা ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি, শিং কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত, পাঙ্গাস ২২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, টেংরা ৬০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, রুই কেজি প্রতি আকার অনুযায়ী ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা পর্যন্ত, কাতল ৫৫০ টাকা কেজি, বাইল্লা ৬০০ টাকা কেজি, চাষ করা কই প্রতি কেজি আকার অনুযায়ী ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা, সুরমা ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের বাজারে দাম কিছুটা নিন্মমুখী। বিক্রেতারা জানান, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি, খাসি মাংস ১০০০ টাকা কেজি করে বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে কমেছে মুরগীর দামও। ব্রয়লার মুরগী কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, কক মুরগী ৩০ টাকা কমে ২৭০ টাকায়।

সর্বশেষ সংবাদ